আলোকিত রাজশাহীঃ কোথাও যেতে হলে অবশ্যই সেজেগুজে যাওয়ার কথা। আর সকালে উঠে দেখলেন আপনার গালে মশুর ডালের বড়ার মতো পিম্পল বা ব্রণ। যার হয়নি সে কখনই বুঝবেন না। এরপরই শুরু হয় বিভিন্ন রকম কসমেটিসের ব্যবহার। এই ক্রিম, সেই লোশন। এতে যে কাজ হয় না তা নয়। তবে কিছুদিন পরে আরেক গালে পিম্পলের আগমন ঘটে।
অনেক সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই পিম্পল বা ব্রণ কমে যায়। বেশী করে পানি পান করলে বা ডায়েট করলে এবং অতিরিক্ত জাঙ্ক খাবার পরিহার করলে ব্রণ অনেকটাই কমে যায়। তবে সেটা খুব দ্রুত হবে না। কিছু সময় লাগবে। কিন্তু আপনার যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে চটজলদি পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন। নিমিশেই ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
দেখে নিন সহজ পদ্ধতিগুলোঃ
১. ত্বক আর চুল ভালো রাখতে মধু যেমন উপকারী তেমনি ব্রণও সারিয়ে তুলতে কার্যকর সেটা জানেন কি? মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই বলে বেশী মধু লাগানো যাবে না। রাতে এক-দুই ফোঁটা লাগিয়ে নিন ব্রণে। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন।
২. অ্যাম্পিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে ব্রণে লাগান। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরী গুণ আপনার ব্রণ সারিয়ে তুলবে।
৩. সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি হলো ফ্রিজে বরফ কিউব থাকে নিশ্চই? একটা নরম কাপড়ে মুড়ে ঐ বরফের টুকরো আলতো করে ব্রণের উপর আলতো করে চেপে ধরুন। ২০ সেকেন্ড সময় চেপে ধরে রাখুন। এ পদ্ধতি দিনে দুইবার করা যায়। এতে ব্রণ ভিতর থেকে শুকিয়ে যাবে।
৪. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পূর্ণ টি ট্রি অয়েল দুুই ফোটা নিয়ে তার সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্রণে লাগাবেন। কয়েক ঘন্টা পরে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
৫. একই গুণ আছে গ্রীণ টি-তে। গ্রীন-টির ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন তারপর ঠান্ডা হলে ব্রণে লাগান।
৬. অ্যালোভেরা গাছ থেকে নির্যাস বের করে ব্রণে লাগাতে পারেন। এতে ব্রণ সেরে যাবে।
কেনা পানি পরিহার করুন এতে রাসায়নিক থাকতে পারে। ব্রণের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক হিসেবে প্রতিদিন স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। চেস্টা করবেন কোন বেশী রাসায়নিকযুক্ত বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করতে। ব্রণ হলেই সেটা হাত দিয়ে টিপে বা খুঁটে দেখার অভ্যাস ত্যাগ করুন। দাগ শুধু চাঁদেই ভালো লাগে, আপনার মুখে নয়।